আগামীকাল যাত্রী অধিকার দিবস
আগামীকাল ১৩ সেপ্টেম্বর যাত্রী অধিকার দিবস। যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহন বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, দুর্ঘটনা, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকি দিবস হিসেবে দেশে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য স্থির করা হয়েছে “ন্যায্য ভাড়ায় হয়রানীমুক্ত যাতায়াতের অধিকার”। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আগামীকাল সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে র্যালি ও সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “ন্যায্য ভাড়ায় হয়রানীমুক্ত যাতায়াতের অধিকার” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখবেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে র্যালি, আলোচনা সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।
উল্লেখ্য যে, পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য জিইয়ে সুবিধা আদায়কারী কিছু কায়েমী স্বার্থবাদীদের মহল বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ভাবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি তথা যাত্রীসাধারণের কন্ঠস্বর মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গণমানুষের এই আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক চাঁদাবাজির মামলায় রাতের আঁধারে গ্রেফতার করে। এই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে উঠে। ফলে স্বার্থান্বেষী মহলের সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ঐ বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর যাত্রীবন্ধু মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে। নির্যাতিত, নিপীড়িত লক্ষ-কোটি যাত্রীসাধারণের পক্ষে কথা বলা, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কন্ঠ সৈনিকের কারামুক্তির গৌরবের সেই ১৩ সেপ্টেম্বরকে দেশব্যাপী যাত্রী অধিকার আন্দোলনকে বেগবান করার প্রতীকি দিবস হিসেবে ১৩ সেপ্টেম্বরকে যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সামাাজিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধভাবে ‘যাত্রী অধিকার দিবস’ ঘোষণা করে।