এন্টারটেইনমেন্ট

সামিনা চৌধুরী স্কুলে থাকতেই প্লেব্যাক শিল্পী

সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। ছবি: স্টার ফাইল ফটো
সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। ছবি: ফাইল ফটো

সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীর জন্মদিন আজ। বাংলা গানে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তার বাবা কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী, মা রাশিদা চৌধুরী। সামিনা চৌধুরী ১৯৮১ সালে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ সিনেমায় আমজাদ হোসেনের গীতরচনায় আলাউদ্দিন আলীর সুরে ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন। সে সময় তিনি ক্লাস সেভেনের ছাত্রী ছিলেন। এরপর টেলিভিশন, রেডিওসহ সব মাধ্যমে গাইতে শুরু করেন সামিনা।

চলচ্চিত্রে গাওয়া তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে: ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’, ‘হও যদি ঐ নীল আকাশ’ ইত্যাদি।

সামিনা চৌধুরী ২০০৬ সালে ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’ গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কাওসার আহমেদ চৌধুরী গীতরচনায় লাকী আখন্দের সুরে ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’ সামিনা চৌধুরীর গাওয়া অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান। অন্য গানগুলোর মধ্য রয়েছে: ‘ঐ ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায়’, ‘এই যাদুটা সত্যি হয়ে যেতো’, ‘কোনো এক সুন্দরী রাতে’, ‘তুমি এলে পায়ে পায়ে ফুল ফোটে ফুল ঝরে’, ‘আমার দুই চোখে দুই নদী’ ও ‘সাত ভাই চম্পা’।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ‘শৈশবের দিনগুলো’ শিরোনামে সামিনা চৌধুরীর প্রথম অডিও অ্যালবাম। গানের সুর ও সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নকীব খান।

চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতেও সামিনা মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন শ্রোতাদের মধ্যে। জন্মদিনে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘করোনা মহামারির এই সময়ে বেঁচে থাকাটা দারুণ এক প্রাপ্তি। বেঁচে থাকা সত্যিই অপূর্ব সুন্দর। গতরাত থেকে পরিচিত-অপরিচিত মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।’

‘গতরাতে আমার বোন (নুমা) ফাহমিদা নবী, স্বামী (স্বপন) ইজাজ খান স্বপনসহ পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে বাসায় কেক কাটা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া ফেসবুক লাইভে কথা বলেছি, একটু-আধটু গান গেয়েছি।’ করোনার এই সময়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান এই শিল্পী।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button