বিদেশি কর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো তামাবিল স্থলবন্দর
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বিদেশি কর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর। কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রকল্পসমূহের কাজের ধারা অব্যাহত রাখা এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখার স্বার্থে এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দিয়ে গত ২৪ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দশেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনার শর্ত মতে স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রথমত বৈধ ভিসা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত পিসিআর ভিত্তিক কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট (ইংরেজিতে অনুবাদ করা কপিসহ) স্থলবন্দরে থাকা দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং অভিবাসন কাউন্টারে বাধ্যতামূলক হিসেবে জমা দিতে হবে। তার পরে স্থলবন্দরে থাকা চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত নন বলে চিহ্নিত করলেই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ২২ মার্চ থেকে দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের মতো সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়েও বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে জরুরি প্রয়োজনেও ভারতীয়সহ বিদেশি নাগরিকরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারেননি। যার ফলে বাংলাদেশে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা চরম বিপদে পড়েন। একই সঙ্গে দেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই মওদুদ আহমেদ রুমি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের শর্তসাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা পত্র অনলাইনে দেখেছি। নির্দেশনা পত্রটি এখনও আমরা হাতে পাইনি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ইমিগ্রশন পুলিশ সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।