দীর্ঘ পাঁচ মাস পর করোনা পরিস্থিতিতে আর ১৩ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেলওয়ের কন্ট্রোল সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালে পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।
রবিবার থেকে চলাচল শুরু হওয়া ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।
এছাড়া এক জোড়া কমিউটার ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে চলছে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই মাস পর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন গন্তব্যে ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে। রোববার রেলের বহরে যুক্ত হয়েছে আরো ২৬টি ট্রেন। সবমিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা ৬০টি, অর্থাৎ ৩০ জোড়া ট্রেন।
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে চলতি মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমেই সব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।