করোনা মহামারীর কারণে সারা বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন করে শিক্ষার্থীদেরকে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত করতে হলে শতভাগ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন এবং বিনামূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অনেক শিক্ষার্থীর পরিবারেই স্মার্টফোন নেই যে কারণে তারা শিক্ষামূলক কন্টেন্টগুলো দেখতে পাচ্ছে না, এ জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন নিশ্চিত করা প্রয়োজন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য। আবার অনেকের বাসায় টিভি ও ডিস সংযোগ নেই যে কারণে টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাসগুলো দেখতে পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। যাদের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে ইন্টারনেটের খরচ অনেক বড় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য।
শতভাগ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন এবং বিনামূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করা না গেলে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে শিক্ষা গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে এবং সেখানে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উচ্চ গতির ও দ্রুত গতির ইন্টারনেটকে ওয়াইফাই হটস্পটের মাধ্যমে গ্রাম এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে দিতে পারলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা সহজে তা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারত। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই বিনামূল্যের ওয়াইফাই হটস্পট ইন্টারনেটের অপব্যবহার হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য সমাধান হলো- শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বা পাঠদানের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ যেমন- জুম ও বাংলাদেশের শিক্ষা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলো এক্সেসের বা ব্যবহারের ব্যবস্থা রেখে বাকি সকল ওয়েবসাইট হটস্পটগুলোতে ব্লক করে দেয়া। বাকি সকল ওয়েবসাইট বলতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নয় এমন অপ্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পটে বন্ধ রাখা। এতে করে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেটেরও ব্যবস্থা হবে এবং শিক্ষা কার্যক্রমে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশনের সুফল পাওয়া যাবে। একই ব্যবস্থা শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্যও করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
লেখক : ফ্রিল্যান্স সংবাদকর্মী, ঢাকা।