এন্টারটেইনমেন্টশুভ জন্মদিন

জন্মদিনে করোনামুক্ত পৃথিবীর প্রার্থনা তারিনের

 জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তারিন। ছবি : সংগৃহীত প্রতি বছর নিজের জন্মদিনে রাত ১২টা থেকে প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ পান জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের স্বার্থে এ বছর কেউ বাসায় যেতে পারেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মুঠোফোনের কল্যাণে উদযাপনে কমতি নেই। অভিনেত্রী তারিন জাহান ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে (২৬ জুলাই) নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মহামারির এ সময়ে সবার ভালোবাসা তাঁর কাছে অনেক মূল্যবান বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে তারিন বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ভালোবাসা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভাই, বন্ধু, প্রতিবেশী, আত্মীয় বা শুভাকাঙ্ক্ষী, কারো ভালোবাসাই আমার কাছে কম নয়। বিশেষ করে পৃথিবীতে এমন মহামারি, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশে বন্যা। এমন সময়ও আমাকে উইশ করছে, এর চেয়ে বেশি এক জীবনে আমি কী পেতে পারি।’

বার ১২টা থেকে মুঠোফোন হাতে বসে আছেন তারিন। প্রত্যেকের শুভেচ্ছা গ্রহণ ও তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জন্মদিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর প্রত্যাশা, যেন পৃথিবী করোনামুক্ত হয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন বন্যার হাত থেকে রক্ষা পায়। সবাই যেন স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশে আবারও ফিরতে পারে। তাঁর আশা, সেই দিন খুব বেশি দেরি নয়।

তারিন বলেন, ‘অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করবেন। স্বাভাবিক সুন্দর জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।’

প্রতিদিনই পরিচিত জন মারা যাচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে চলে যাচ্ছে বিশেষ মানুষগুলো। এমন দিনে জন্মদিনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা চান না তারিন। সবার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও দোয়া চাইলেন তিনি।

তারিন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। যেন সুস্থ থেকে আমাদের জন্য কাজ করে যেতে পারেন।’

তারিন শুধু অভিনেত্রীই নন, তিনি একাধারে মডেল, নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা। ১৯৮৫ সালে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ নতুন কুঁড়িতে অভিনয়, নাচ ও গল্প বলা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তিনি। তখন থেকেই তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে ছোট পর্দায় কাজ শুরু করেন। তিনি অভিনয়ের জন্য ২০০৬, ২০০৭ এবং ২০১২ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button