হিরো অফ দি ডে

পাটের আধুনিকায়নে ‘কালিন্দী’র সাফল্য

রপ্তানির অব্যবহৃত পাটেই তৈরি দেশীয় ব্র্যান্ড, মাসিক আয় ৮ লাখ টাকা

২০২১ সালে দেশীয় ব্যাগের ব্র্যান্ড কালিন্দী প্রতিষ্ঠা করেন মুনিয়া জামানছবি: মুনিয়া জামানের সৌজন্যে
২০২১ সালে দেশীয় ব্যাগের ব্র্যান্ড কালিন্দী প্রতিষ্ঠা করেন মুনিয়া জামানছবি: মুনিয়া জামানের সৌজন্যে

পাটের গতানুগতিক ধারণা ভেঙে আধুনিকতা ও পরিবেশবান্ধবতার মিশেলে দেশীয় বাজারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্যাগের ব্র্যান্ড ‘কালিন্দী’। পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অপরাজেয় লিমিটেডের অব্যবহৃত উপকরণ কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালে মুনিয়া জামানের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই ব্র্যান্ডটি বর্তমানে শুধু ব্যাগ বিক্রি করেই মাসিক আট লাখ টাকা আয় করছে।

উদ্যোক্তা মুনিয়া জামান পাটের ব্যাগকে ফ্যাশনেবল ও সহজলভ্য করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি দেখেন, বিদেশে পাটের চাহিদা থাকলেও দেশে আধুনিক নকশার অভাবে ক্রেতার আগ্রহ কম। এই ভাবনা থেকেই তিনি ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী পাটের ব্যাগে নানা রং ও নকশা নিয়ে এসেছেন। নারীদের পার্স থেকে শুরু করে পুরুষদের কাঁধের ব্যাগ, এমনকি ল্যাপটপ ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাকও রয়েছে কালিন্দীর সংগ্রহে। মুনিয়া জানান, পণ্যের মান, মূল্য নির্ধারণ এবং ক্রেতাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিলেই দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি হবে।

উৎপাদনের ক্ষেত্রে টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে কালিন্দী। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে অবস্থিত কারখানায় বর্তমানে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেঁচে যাওয়া উপাদান ব্যবহার করে ব্যাগ তৈরি হয়। ১৩ জন শ্রমিকের দক্ষতায় চাহিদা অনুযায়ী মাসে প্রায় ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়।

নদী ও পাটের নিবিড় সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদী ‘কালিন্দী’র নামে ব্র্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাগের নামও দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর নামে, যেমন: হালদা, চিত্রা, রূপসা, ভৈরব। প্রতিটি ব্যাগের সঙ্গে ওয়েবসাইটে সেই নদীর বৃত্তান্তও তুলে ধরছে কালিন্দী। প্রাথমিক লক্ষ্য দেশের বাজার হলেও, মুনিয়া জামান এখন কালিন্দীর ব্যাগ বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে চান।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker