ভ্লগিংয়ে সফলতা পেতে যা করতে পারেন
আপনার হাতের কাছাকাছি ও যে বিষয়বস্তুটি সহজ, সেটা দিয়েই শুরু করতে পারেন। তবে আপনি গল্পের ছলে হলেও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অন্যদের থেকে ভিন্ন হওয়ার চেষ্টা আপনাকে এ যাত্রায় এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের সংখ্যার চেয়েও মানের দিকে বেশি বেশি ফোকাস দিতে হবে। চেষ্টা করবেন আগের ভিডিওর তুলনায় পরের ভিডিওটি আরও বেশি মানসম্মত করতে। একটি কনটেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, প্রথম ৩-১০ সেকেন্ড। একটি ভিডিওর দৈর্ঘ্যের ওপর হুক নির্ভর করে। ছোট ভিডিওর হুক ছোট হবে, আর বড় ভিডিওর বড়। এই অংশে আপনি আপনার ভিডিওর চৌম্বকাংশ দেবেন।
একটি ভিডিওতে প্রথমেই দর্শক ক্লিক করে থাম্বনেইল দেখেন। আপনি আপনার ভিডিওর মূল বিষয় থাম্বনেইলে তুলে আনার চেষ্টা করুন এবং বিষয়-সংক্রান্ত একটি সুন্দর টাইটেল দিন। আবার টাইটেল আকর্ষণীয় করতে গিয়ে ক্লিকবেট করবেন না। এমন বিষয় যুক্ত করে থাম্বনেইল বানাবেন না, যে ভিডিও দেখে মানুষের মধ্যে প্রতারিত হওয়ার ভাবনা তৈরি করে। এতে আপনার দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। ভিডিও এমন কোনো বিষয়ে বানাবেন না, যেটি আপনার পরিবার এমনকি একটা সময় আপনার সন্তান দেখলে লজ্জা পায়। আপনি এখন যা কিছু দেখছেন, সবকিছুই পাল্টে যাবে। আপনি সময়ের ডায়েরি লিখে যাচ্ছেন, এ প্রজন্ম কোনো একটা সময় আপনার ভিডিও দেখবে। ফলে খুব সচেতনভাবে আগাবেন।
পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, কখনোই আইডিকে প্রোফেশনাল মুড করবেন না। আইডির রিচ একটি নির্দিষ্ট পরিসরে হয়। কিন্তু পেজের রিচের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। খুব অল্প কিছু আইডিই দেখবেন ভালো রিচ আছে। চেষ্টা করবেন পেজ নিয়ে কাজ করতে।
ধৈর্য ধারণ করে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। প্রথমেই আপনি যত ভালো ভিডিওই বানান না কেন, সেটা কেউ পছন্দ করবেন না। আস্তে আস্তে আপনার ভিডিও ভালো লাগতে শুরু করলে তাঁরা আপনার ভিডিওর জন্য অপেক্ষা করবেন। যাঁরা নতুন কনটেন্টে আসতে চান তাঁদের জন্য প্রথম টিপস থাকবে, আপনি প্রথমে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও দেখবেন। অনেক ভিডিও দেখলে আপনি কী নিয়ে কাজ করতে চান, এ সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সহজ হবে। সফলদের ব্যক্তিত্ব অনুসরণ করতে পারেন, তবে তাঁদের কাজকে নয়। আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব তৈরি করে সফল হওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ, ভ্লগিংয়ে যাঁরাই নতুন কিছু দিতে পারবেন, তাঁরাই প্রতিষ্ঠিত হবেন।