ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০২৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের অব্যবস্থাপিত ১০% প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটির বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই ঘোষণা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা)-এর সাথে যৌথভাবে পালিত হচ্ছে।
এই মাইলফলক উদযাপনের জন্য চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে তিনজন বর্জ্য সংগ্রাহক এবং দুইজন ভাঙ্গারিওয়ালা/সিএসও প্রতিনিধিকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২০২২ সালের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২৪,০০০ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা শহরের মোট বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশ। এছাড়াও, ৩,০০০ এর বেশি বর্জ্যকর্মীকে নিরাপদ বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ২,২০০ জনের বেশি অনানুষ্ঠানিক বর্জ্য কর্মীকে সুরক্ষা সরঞ্জাম ও ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১,৮২৭ জন বর্জ্যকর্মী ও ভাঙ্গারির জন্য বীমা সুবিধা চালু করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন এই যৌথ উদ্যোগকে প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করার একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং ইপসা একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।