বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৫ বছর প্রবাসীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হয়রানি এবং দেশের বাইরে থেকেও তাদের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে গভীর আগ্রহ ও উদ্বেগ রয়েছে। “প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রবাসীদের মতামতও দেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।” বিএনপি প্রবাসীদের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসলে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুযালালামপুরে এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও চিন্তাভাবনাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে এ চিন্তা থেকে মালয়েশিয়া সফরকালে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ তরুণ নেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে, মেধাবীদের মূল্যায়ন ও গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ড. মারুফ হোসেন বলেন, “আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আমার বাবা, যিনি তৎকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন, তাকে তিনি দলে এনেছেন। এরকম ডক্টর আব্দুল মঈন খান থেকে শুরু করে এহসানুল হক মিলন, অনেক যারা সে সময়ের শিক্ষিত এবং সমাজে গ্রহণযোগ্য শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিভিন্ন সেক্টর থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান তাদেরকে, মেধাবীদেরকে সরকারের দলে এনে তাদের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন, সমাজ গঠনের জন্য কাজ করেছেন। বর্তমান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমানও তার বাবার দেখানো পথে হাঁটছেন, আপনারা নিশ্চই দেখেছেন।”
মারুফ বলেন, “ভোটই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতেই বিগত ১৫ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।” ভোট জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের একমাত্র বৈধ মাধ্যম। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে ব্যালট বাক্স ভরা, রাতের আঁধারে ভোট গ্রহণ এবং বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ১৫৪টি আসনে বিজয়ী হওয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ‘ডামি’ নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারও ভোটাধিকার হারিয়েছিলেন। ১৫ বছরের নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। স্বৈরাচার পতনের পর এখন জনগণ আবার ভোট উৎসবে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। বিএনপি সেই গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে এবং সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।”
“আসন্ন রাজনৈতিক লড়াইয়ে জনগণের ভোটের শক্তি ও সমর্থন বিএনপির সাথে রয়েছে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই তার প্রতিফলন ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।