বাংলাদেশে আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ করতে আগ্রহী ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক। ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বেয়ার বলেছেন, আঞ্চলিক এই ঋণদাতা সংস্থা বাংলাদেশে তাদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে তিনি দেশের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এই অবস্থান জানালেন, যখন বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকোলা বেয়ার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণদাতা সংস্থাটি নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারকে সমর্থন করবে। গত বছরের আগস্টের শুরুতে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশ পরিচালনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্যস্থল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের লাখো শ্রমিকের গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন এবং বছরে ৩৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করে এই খাত থেকে। এই খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে, যাদের বেশির ভাগই গ্রামীণ নারী।
নিকোলা বেয়ার বলেন, লুক্সেমবার্গভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য তাদের তহবিল দ্বিগুণ করে ২ বিলিয়ন ইউরো বা ২০৬ কোটি ডলার করতে চায় এবং একই সঙ্গে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। আমাদের আলোচনায় আমরা সব সময় এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকি যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মতামতের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সরকার ও পরবর্তী সব সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারগুলো রক্ষা করা হবে।’