বিদেশহাইলাইটস

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফরে আলোচনা হবে চীনা বাঁধ নিয়েও

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের আগামী ৫-৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লি সফর করবেন। তাঁর এই সফরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের তৈরি বাঁধগুলোর প্রভাব নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা আছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চীন দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চলেছে। তিব্বতের মতো কৌশলগত অঞ্চলগুলোতে বাঁধ নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চীনের একতরফা উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। তিব্বতের ইয়ারলুন সাংপো নদীর ওপর চীনের পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ বাঁধ এই উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই নদী ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এ ধরনের প্রকল্পের ভাটির অঞ্চলে পানির প্রবাহ, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারত এরই মধ্যে চীনকে এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব প্রকল্প পরিবেশ বা ভাটির অঞ্চলের পানির সরবরাহে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। চীনের বক্তব্যের পরও পরিবেশবিজ্ঞানী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এই বাঁধটি কৌশলগতভাবে ভারতে চাপে ফেলার প্রচেষ্টার অংশ।

ওয়াশিংটনও চীনের এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে গভীর উদ্বেগের চোখে দেখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক (ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয়) অঞ্চলে চীনের উজানের বাঁধগুলো অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জলবায়ুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। মেকং অঞ্চলে চীনের বাঁধগুলোর প্রভাবের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ভাটির দেশগুলোর ওপর এই ধরনের প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।’

সুলিভানের সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। তবে এই সফরের আলোচনা কেবল চীনকেন্দ্রিক নয়। মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন, বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ গবেষণা, সামরিক প্রযুক্তির লাইসেন্সিং এবং চীনের অর্থনৈতিক অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার এই বৈঠক ভবিষ্যতে উভয় দেশের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button