স্বাস্থ্য

ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি 

ই-সিগারেট তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করে, ই-সিগারেট (ভেপ) নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই ক্যাব)।সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

এতে বলা হয়, সিগারেটের মত ই-সিগারেট বা ভেপ এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে বর্তমান তরুণ সমাজ। সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশল বিশেষ করে সিগারেট ছাড়ার বিকল্প বলে, ক্ষতিকর পণ্যটিকে আমাদের মতো কিশোর ও তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদজ্জনক এমনকি ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

চিঠির মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো তুলে ধরা হয়। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা, তামাকজাতদ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করাবিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

প্রস্তাবিত এই সংশোধনী গুলো দ্রুত পাস হলে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার অর্থাৎ দৈনিক ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ রক্ষা হবে।

বাংলাদেশ বিশ্বের ১ম দেশ হিসেবে ২০০৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি ডব্লিওএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল স্বাক্ষর করে। ২০০৫ সালে এফসিটিসি-এর বাধ্যবাধকতায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়। বিশেষত ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং তামাকপণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথাক্রমে খারাপ ও মধ্যম স্তরে রয়েছে।

তামাকমুক্ত সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানায় ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই ক্যাব)।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button