দেশ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্যার ফজলে হাসান আবেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল আলোচনাসভা, স্যার ফজলের জীবন-দর্শন নিয়ে স্মৃতিচারণ, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, পোস্টার উপস্থাপনা ও বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্পের সম্মাননা প্রদান।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথিকৃৎ। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও কাজ সারা বিশ্বের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিস্যার ফজলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিবিশন গ্যালারিতে মাসব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ। প্রদর্শনীতে স্যার ফজলের পছন্দের শিল্পকর্ম, শিক্ষার্থীদের তৈরি চিত্রকর্ম এবং তাঁর সামাজিক উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন পোস্টার প্রেজেন্টশন অনুষ্ঠিত হয়। তিনজন শিক্ষার্থীর শিল্পকর্মকে পুরস্কৃত করা হয় এবং দুজনকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইনের ডিন প্রফেসর ফুয়াদ হাসান মল্লিক, ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিটেকচার এর চেয়ারপারসন জয়নাব ফারুকী আলী, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড এবং অফিস অফ কমিউনিকেশন্স এর ডিরেক্টর খায়রুল বাশার।

প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ তার বক্তব্যে বলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদের আদর্শ ও কর্মময় জীবন আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক পর্যায়ে ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি সারাজীবন আমাদের সবার অন্তরে বেঁচে থাকবেন।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় তুমি রবে নীরবে শীর্ষক স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্যার ফজলের পছন্দের দুটি কবিতা আবৃত্তিক রেন রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্যার ফজলের আদর্শ কীভাবে শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেছে আলোচকরা সেটি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খায়রুল বাশার। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ১৮টি সামাজিক প্রকল্পকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button