দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানির কাছ থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানির কাছ থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া চাল, ডাল, তেল ও সার কেনাসংক্রান্ত বেশকিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে সভায়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৭২ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৪ ডলার ২৫ সেন্ট। একই কোম্পানির কাছ থেকে আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আরো এক কার্গো এলএনজি ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ২৮০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ ডলার ৮৭ সেন্ট।
শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া ও টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাতার এনার্জি মার্কেটিংয়ের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৩৯ ডলার ৩৩ সেন্ট। কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২০ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন সারে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩৩ ডলার ৮৮ সেন্ট। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানির কাছ থেকে ১২২ কোটি ১৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৩৯ ডলার ৩৩ সেন্ট। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিকর্পসের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার ১৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২৩ ডলার ৫০ সেন্ট।