জেলার খবর

বগুড়ায় ২২ পরিবারের চালে ব্যতিক্রম নবান্ন উৎসব

বগুড়াবগুড়ার কাহালু উপজেলায় প্রভাতী থিয়েটারের আয়োজনে আল্লামের তাকিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে নবান্ন উপলক্ষ্যে শিশুদের নিয়ে এক ব্যতিক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঘরে ঘরে নবান্নের ঘ্রাণ জেগে উঠুক বাঙালির আপন প্রাণ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের মুখে নতুন চালে, নারকেল এবং খেজুরের গুড় দিয়ে ক্ষীর এবং ১৩ প্রকার নতুন সবজি, ২২ পরিবারের চাল মিশ্রিত খিচুড়ি আপ্যায়নের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রথমবারের মত প্রভাথি থিয়েটার ২২টি পরিবার থেকে কিছু কিছু চাল ও ১৩ প্রকার সবজি দিয়ে রান্না করে কৃষকের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি এলাকায় কৃষকদের মাঝে বেশ আনন্দ বার্তা দিয়েছে।

উদ্বোধন ঘোষণা করেন আল্লামের তাকিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ টিএম ফেরদৌস আলম পলাশ। ফিতা কেটে ৩৯ জন কৃষকের মুখে পায়েস সবজি খিচুড়ি তুলে দেন। পরে বিকাল সাড়ে তিনটায় দেশগান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিলেন পাঁচপীর মাজার বালিকা বিদ্যালয় ও প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের হাতে একটি করে বকুল গাছের চারা তুলে দেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ মাসুদ হাসান রুনজু।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে ৫৪টি মোমবাতি প্রজ্বলনের শুভ সূচনা করেন প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস। পাঁচপীর মাজার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে আলোচক হিসাবে উপস্থিত থেকে সেই সময়ে ওই যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার মুক্তিযোদ্ধা জিয়া অঞ্চল এর তৃণমূল জনপদের সক্রিয় সংগঠন প্রভাতী থিয়েটারের পরিবেশনা ও মো. আব্দুল বাছেদর  রচনা ও নির্দেশনায় লোককথা লবান মঞ্চ হয়।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button