সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া আমাদের অঙ্গীকার,বললেন বেবী নাজনীন

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া আমাদের অঙ্গীকার। আমার জন্মভূমির জন্য কিছু করতে চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে গতকাল (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বেসরকারী একটি ফ্লাইটে নিজ জন্মস্থানে আসে ব্লাক ডায়মন্ড খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দেশ আমাদের সকলের। আমাদের দেশের প্রতি ভালবাসা চিরন্তন। আওয়ামী শাসনের গত ১৬ বছরে আমি নানাভাবে প্রতিহিংসার শিকার হই। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আমার সংগীত জগৎ। এমনকি ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার অনুষ্ঠানের তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল আমার নাম। অহেতুক আটকসহ নানা হেনস্তার সম্মুখীন হয়ে ৮ বছর আগে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হই। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের সন্ত্রাসীদের পতন হয়েছে। কিন্তু এর পিছনে অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো ছাত্র-জনতার পাশে থাকব। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বেবী নাজনীন বলেন, আমি সৈয়দপুরে এসেছি, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাইতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের দোয়া চাই। বেবী নাজনীন স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাঙ্গালীপুরের বাসায় যান এবং তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এরপর তিনি শহীদ সাজ্জাদের কবর জিয়ারত করেন।
দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে গত ১০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরেন বেবী নাজনীন। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরে বেবী নাজনীন নানাভাবে প্রতিহিংসার শিকার হন। বন্ধ হয়ে যায় তার পেশাগত কর্মকান্ড। অহেতুক আটকসহ নানা হেনস্তার মুখে প্রায় ৮ বছর আগে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন তিনি।
রিপোর্টঃ নাজমুল হুদা