বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে আরো সময় দেয়ার এবং ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে শান্ত থাকতে দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক রহমান এই বিবৃতি দিয়েছেন।
তারেক রহমান বলেছেন দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আমার আহ্বান সরকারকে আরেকটু সময় দিন। আরেকটু ধৈর্যের পরিচয় দিন। শান্ত থাকুন। পরিস্থিতির উপর সতর্ক এবং সজাগ দৃষ্টি রাখুন। দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি বিষয়ে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে কয়েকটি কথা বলতে চাই। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে ষড়যন্ত্রকারীদের বাধা বিচক্ষণতার সঙ্গে অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তারেক রহমান বলেন মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনতার আন্দোলনে যেই শিক্ষার্থীরা সামনের কাতারে থেকে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলো, হঠাৎ করেই এখন তারা কেন একে অপরের বিরুদ্ধে এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো? জনমনে এই প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেন ছাত্র-জনতার এমন একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা কেন শিক্ষাঙ্গনে ভাংচুর চালাবে? কেন আগুন ধরিয়ে দেবে?
এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের যৌক্তিক আন্দোলন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ সাবোটাজ করছে কিনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে হবে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন সরকার পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা জনগণের অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন আমি বারবার বলেছি জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা লাঘবে করণীয় নির্ধারণ’ই হোক সরকারের প্রথম এবং প্রধান অগ্রাধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনে রাখা দরকার, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে দেশের কোটি কোটি পরিবারকে প্রতিদিন সাধ এবং সাধ্যের সঙ্গে আপোষ করতে হচ্ছে। পারিবারিক খরচ মেটাতে এমন দুুর্বিষহ পরিস্থিতিতে অনেকের কাছেই সংস্কারের চেয়ে সংসার অগ্রাধিকার হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এই স্পর্শকাতর ইস্যু ব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা সেই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে জনগণকে আস্থায় রাখার এবং জনগণের আস্থায় থাকার জন্য তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
