দেশ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ভাষা শিক্ষার প্রভাব শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স

ব্র্যাক
ব্র্যাক

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেসের আয়োজনে ভাষার রূপান্তর ডিকলোনিয়াল প্রেক্ষাপটে ভাষা শিক্ষার প্রভাব শীর্ষক তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উপনিবেশিক প্রভাবের কারণে ভাষা শিক্ষার পরিবর্তনসমূহ পর্যালোচনা করা। সেই সাথে এই পরিবর্তনগুলি কীভাবে বৈশ্বিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও ধরণকে প্রভাবিত করছে তা নিয়ে আলোচনা করা। এই কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০০ জনেরও বেশি গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশ নিচ্ছেন। তিনদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে থাকছেন ছয়জন প্রধান বক্তা,তিনজন খ্যাতনামা গবেষক, দুটি প্লেনারি সেশন, দুটি কোলোকুইয়াম সেশন এবং ১৫১টি প্রেজেন্টেশন। এসব সেশনে বহুভাষিক শিক্ষা, ভাষানীতি, ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং ডিকলোনিয়াল শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়নিয়ে আলোচনা করা হবে যা বিস্তৃতভাবে অ্যাকাডেমিক আলোচনার পাশাপাশি ফলপ্রসূ মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি করেছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ও লেখক সলিমুল্লাহ খান, ব্র্যাক ইউনিভিার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বাংলা ভাষা আমাদের পরিচয় ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। বহুভাষিকতার প্রসার যেন কখনোই আমাদের মাতৃভাষাকে ছাপিয়ে না যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ভাষাশিক্ষায় উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভূমিকার জন্য ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেস এর প্রশংসা করেন তিনি। তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনকে ভাষা শিক্ষার উন্নয়নে নতুন ধারণা ও সমাধান তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে উল্লেখ করেন ডাঃ বিধান রঞ্জন।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন এই সম্মেলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত আলোচনা এবং ধারণা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করা। তিনি শিক্ষার হার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এবং একই সাথে শুধুমাত্র বিদেশি ভাষার উপর নির্ভরশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইংরেজি ভাষার বৈশ্বিক গুরুত্ব রয়েছে। একই সাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় ভাষাগত বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দেবার বিষয়েও জোর দেন তিনি। সবাই যাতে সহজে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য মাতৃভাষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে তিনি আহবান জানান।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button