বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কি বলবেন ড. ইউনূস
কপ ২৯: বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন- বাকু, আজারবাইজান থেকে
ক’দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছিলো। আজ রোদ ঝলমলে বাকুর আকাশ। সাড়ে ৫ হাজার বছরের পুরনো ঐতিহাসিক এ শহরেই বসেছে এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের আসর- কপ ২৯। বিশ্বের ৪০ হাজারেরও বেশি অতিথি এসে পড়েছেন। তাদের বরণে ব্যস্ত হাজারো স্বেচ্ছাসেবী। তারা সুশ্রী তরুণ-তরুণী । বেছে বেছে আনা হয়েছে আশপাশের দেশ ও আজারবাইজানের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে। একদিকে সাজানো সড়ক, ঝঁকঝঁকে বাস, পথে পথে উড়ানো সাগরনীল পতাকায় যেন বদলে যাওয়া এ এক শহর। সকালের দিকে ৮/৯ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মনে হয় মাইনাস শীত। জলবায়ুর এ বিশ্ব আসরে যোগ দিতে কাল বিকেলে বাকু পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ।
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়েনের দাবি এরিমধ্যে কপ ২৯ এ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এবারের জাতিসংঘ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৯ এর উদ্বোধনী দিনেই এ নিয়ে বিশ্ব ফোরামে দর কষাকষি শুরু করেছেন সরকারি-বেসরকারি বিশেষজ্ঞরা। আজ এ নিয়ে বিশ্বনেতাদের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন ড. ইউনুস।
এবারের সম্মেলন থেকে জলবায়ু অর্থায়নে সুস্পষ্ট অগ্রগতি ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার দাবি ছাড়াও বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উন্নত বিশ্ব শিল্পায়নের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিরূপণ করে এমন অনেক পরিসংখ্যানে ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বকে এর জন্য দায়ী বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।