বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি দেশের সব শক্তিকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ।
তারেক রহমান বলেন ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের অপশক্তি এখন কিন্তু আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করানোর অপচেষ্টার লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং ৫ আগস্টের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি অবশ্যই বাংলাদেশের সব শক্তিকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বরকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
তারেক রহমান নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনও থেমে নেই। মাফিয়া সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সময় বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপকৌশলে লিপ্ত ছিল। তিনি আরো বলেন একদিন পর এই সরকারের মেয়াদ তিন মাস পূর্ণ হবে। এই তিন মাসে তাদের সফলতা নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট সময় নয়।
তারেক রহমান আরো জানান একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে। তবে প্রত্যেক নেতা কর্মীদের মধ্যে বিজয়ের আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজেদের জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখবেন না। জনগণের কাছে পছন্দ নয়, এমন কোনো কাজ করার থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন। কারণ জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতায় উৎস।
তিনি বলেন জনপ্রত্যাশার বিচারে ১৯৭১ সাল, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রতিটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল, একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক এবং মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ।