কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসা শিক্ষায় বিপ্লব এনেছে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বক্তারা
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন উদ্ভাবনী যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে আর তা দিয়ে চিকিৎসকরা খুব সহজেই রোগির রোগ নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হচ্ছেন এছাড়াও চিকিৎসা শিক্ষায় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে একীভূত করার মাধ্যমে চিকিৎসকরা রিয়েল-টাইম ডাটা বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা জানান।
তারা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং পরিচালনার পদ্ধতিকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে। বক্তারা বলেন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এআই এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে একটি হল মেশিন লার্নিং চিকিৎসা রেকর্ড, ডায়াগনস্টিক ইমেজ এবং জেনেটিক তথ্যসহ রোগীর বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম। বিপিএমসি এর প্রেসিডেন্ট এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন এর সভাপতি প্রফেসর রিকার্ডো লিওন বোর্কেজ, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ংসিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব অনস্বীকার্য। এটি ডায়াগনস্টিকস ও চিকিৎসায় নতুন আকার দিচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি অব্যাহত থাকায় এর সম্ভাবনাকে গ্রহণ করতে হবে।