৭০টি দেশের অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ায় চলছে ৩ দিনব্যাপি তেল ও গ্যাস শিল্প মেলা
সবুজ ভবিষ্যত গড়ার সংলাপ ও বিনিয়োগের সুযোগকে এগিয়ে নিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তেল, গ্যাস, জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের শীর্ষস্থানীয় শিল্প ইভেন্ট তেল ও গ্যাস এশিয়া ওজিএ ২০২৪ এর ২০তম মেলা শুরু হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলাটি চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।মেলার প্রথম দিন উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী ওয়াইবি তুয়ান মোহাম্মদ রাফিজি রামলি। ইনফরমা মার্কেটস আয়োজিত পাওয়ার প্রগ্রেস টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল এনার্জি ল্যান্ডস্কেপ শীর্ষক এই মেলাটি কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । ইনফরমা মার্কেটস মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল রহমান মামাত বলেন, সাসটেইনেবিলিটি এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দেশ এবং কোম্পানি এখনও তাদের শক্তি চাহিদা এবং নিরাপত্তা জন্য সেরা বিকল্প খুঁজছেন।
তিনি আরও বলেন, ওজিএ প্রদর্শনীতে তাদের সর্বশেষ সমাধানগুলোর সাথে অসংখ্য বাজার হোস্ট করতে পেরে এবং পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য সরকারি-বেসরকারি খাতের পেশাজীবী, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের স্থানান্তর ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বিশিষ্ট সমাবেশের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আতিথ্য করতে পেরে আনন্দিত।এবারের মেলায় প্রায় ৭০টি দেশের ২৮ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করার প্রত্যাশিত ওজিএ ২০২৪ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিস্তৃত প্রদর্শনীর পাশাপাশি অতুলনীয় নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ সরবরাহ করবে। মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির কম্পিউটিং এন্ড ইনফরম্যাটিক্স ডিপার্টমেন্টের লেকচারার, মোঃ জুবাইর হাসান তারিফ বলেন, ডিজিটাল টুইন, অ্যানালিটিক্স এবং রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন বর্তমানে তেল ও গ্যাস শিল্পে জনপ্রিয় বিষয়, যা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা এবং অপারেশনাল পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করছে। বিশেষ করে ডিজিটাল টুইনের মতো প্রযুক্তি,যেটা ফ্যাক্টরির সরঞ্জামের একটি ভার্চুয়াল মডেল হিসাবে কাজ করে, যা সময়মতো মনিটরিং এবং মেইন্টেনেন্স পূর্বাভাসের সুবিধা দেয়, এবং উৎপাদন কর্মপ্রবাহকে অপ্টিমাইজ করে। এ ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশের বর্তমান তেল ও গ্যাস শিল্পকে আধুনিকায়নের বড় একটি সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
মালয়েশিয়ান পেট্রোকেমিক্যালস অ্যাসোসিয়েশন এর সহায়তায় আয়োজিত এই ইভেন্টটি শক্তি মূল্য শৃঙ্খলজুড়ে বৃদ্ধির এবং উদ্ভাবনের প্রচার করবে। অজিএ ২০২৪-এ ২০০০টিরও বেশি কোম্পানির প্রদর্শনী চলছে, পাশাপাশি সম্মেলন এবং নেটওয়ার্কিং সেশন যা আসিয়ান অঞ্চলে অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আয়োজকদের প্রত্যাশা।