প্রবাস

মালয়েশিয়ায় লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস এর উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। ছবি: সংগৃহীত।

মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস । ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত।জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) প্রচারে, বর্তমানে  বিশ্বব্যাপী যে সকল চ্যালেঞ্জসমূহ বিদ্যমান সেগুলোর সমাধানকল্পে স্থানীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, যথাযথ  কর্ম প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। এতে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সোমবার সকালে হাইকমিশনার মো.শামীম আহসান সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, পিএইচডি স্কলার এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের একটি দল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

হাইকমিশনার বাংলাদেশি একাডেমিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মত বিনিময় করেন, বিশেষত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অধ্যাপকদের অর্জন এবং গবেষণা খাতে তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায়  এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বরোপ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি যুব-নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মালয়েশিয়া কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে গভীর শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ গড়ে তুলতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে  সমর্থন করার ক্ষেত্রে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

সম্পাদনা
মুঈন তাজদীদ

এমন আরো সংবাদ

Back to top button