দেশে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে পূর্ণ সক্ষমতায় এলএনজি সরবরাহের সুযোগ নেই। পেট্রোবাংলার হাতে প্রয়োজনীয় কার্গো না থাকায় সামিটের এলএনজি টার্মিনাল প্রস্তুত হলেও তা আপাতত বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এর ফলে গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ না বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনেও তার প্রভাব রয়েছে। সে হিসেবে চলতি মাসজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সংকট থাকায় মাসজুড়ে লোডশেডিং হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার কথা সেটি পাচ্ছে না বিপিডিবি। এর ফলে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্ধেক বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। বাকি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানো যাচ্ছে না উচ্চ খরচ ও জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রয়োজনীয় ডলারের সংস্থান না থাকায়। এ পরিস্থিতিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে সেটিও করা যাচ্ছে না, কারণ কয়লার তীব্র অভাব রয়েছে সেখানেও।
লোডশেডিংয়ের বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে জ্বালানি খাতের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। লোডশেডিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কারিগরি সমস্যা হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালু হয়েছে, আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং দ্রুত গ্যাস আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন যে পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা তৈরি হচ্ছে। সেখানে দেড় থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। রাজধানী ঢাকায় কম লোডশেডিং হলেও মফস্ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে অনেক বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এলাকাভেদে ৬-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।