সরানো হলো বিভিন্ন ফেডারেশনের ১৬ কর্মকর্তাকে
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে আছে ক্রীড়াঙ্গনও। ইতোমধ্যে জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর আগে আরও তিন ফেডারেশনের সভাপতি তাদের পদ হারিয়েছেন। এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে থাকা তাদের ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপসারণ করেছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সবাইকে অপসারণের কথা জানানো হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যন্ত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা জায়গা করে নিয়েছিলেন বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে। এর মধ্যে কেউ ছিলেন নির্বাচিত কমিটিতে, বাকিরা অ্যাডহক কমিটিতে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ মোতাবেক যাদেরকে অপসারণ করা হয়েছে তারা হলেন— সাবেক পরিচালক প্রশাসন, শেখ হামিম হাসান (সাধারণ সম্পাদক, শরীর গঠন ফেডারেশন), সাবেক পরিচালক ক্রীড়া, শাহ আলম সরদার সদস্য, (বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন), ক্রীড়াজগৎ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান দুলাল (সদস্য, শরীর গঠন ফেডারেশন), অবসরপ্রাপ্ত উপ পরিচালক সৈয়দা তাছলিমা আক্তার (সহসভাপতি, বক্সিং ফেডারেশন), বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামের প্রশাসক রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত (সহকারী সাধারণ সম্পাদক, আর্চারি ফেডারেশন, সহ-সভাপতি সেপাক টাকরো এসোসিয়েশন ও সদস্য ভারোত্তোলন ফেডারেশন), অবসরপ্রাপ্ত উপ পরিচালক আয়েশা বেগম (সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা), প্রাক্তন জুডো প্রশিক্ষক কামরুন নাহার হিরু (সদস্য, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ), সহকারী পরিচালক প্রশাসন, মাসুদুর রহমান (সদস্য, সাইক্লিং), সহকারী পরিচালক মো. নিয়াজুল হাসান খান (সদস্য, উশু ফেডারেশন), সাইক্লিং প্রশিক্ষক মো. শাহিদুর রহমান (কোষাধ্যক্ষ, সাইক্লিং ফেডারেশন), ভারোত্তোলন প্রশিক্ষক ফারুক আহমেদ সরকার (কোষাধ্যক্ষ, ভারোত্তোল ফেডারেশন), হ্যান্ডবল প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম কিরণ (সহকারী সাধারণ সম্পাদক, আর্চারি), উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন (সদস্য, চুকবল), ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. মাকসুদ উল হক ভূঁইয়া (সদস্য, জুডো ফেডারেশন), সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী জিল্লুর রহমান (সদস্য, ইয়োগা ও আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো অ্যসোসিয়েশন) ও মাঠকর্মী মো. সেলিম মিয়া (সদস্য, বক্সিং)।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ভেঙে দেওয়া হয় সরকারের অধীনে থাকা দেশের সব ক্রীড়া সংস্থা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠু, সচল ও নির্বিঘ্ন রাখার প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া হলো। এতে উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলো হলো—বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও উপজেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা।