বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠের হুইপ ডিক ডারবিন। সিনেটে দেয়া বক্তৃতায় ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন তিনি। সিনেটের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে ডিক ডারবিনের বক্তৃতা।
সেখানে সিনেটর শুরুতেই বাংলাদেশে তার প্রথম সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তিনি প্রথমবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। অর্থনীতির অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ‘এক চমকপ্রদ চরিত্র’ হিসেবে আখ্যা দেন ডারবিন, যিনি ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করে গেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের প্রভাব এবং শান্তিতে ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও বলেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ড. ইউনূসের প্রতি হয়রানিও ছিল ডারবিনের বক্তৃতায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। সে ব্যাপারে ডারবিন বলেছেন, গত মাসে জনসাধারণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দেশের নেতা হিসেবে অন্য কাউকে নয়, বরং সেই অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই চেয়েছেন, যার সঙ্গে আমি ২০ বছরেরও বেশি আগে দেখা করেছিলাম। আমি এ ঘটনা শুনেই তাকে ফোন করি। তিনি আশাবাদী এবং দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এক ঐতিহাসিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত।
ডিক ডারবিন আরো বলেন, আমি আজ তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাতে চাই। আমি তাকে বিশ্বাস করি। যেমনটা ২০ বছর আগে করতাম সেটা এখনো করি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও তাকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমি জানি, ড. ইউনূসের হৃদয়ে বাংলাদেশী জনগণের স্বার্থই অগ্রাধিকার পাবে এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।