ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এলাকা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর ‘আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার’ পথে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ‘ঘটনাপ্রবাহের’ বিস্তৃত ও গভীর বিশ্লেষণ করতে বলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ‘অপ্রত্যাশিত’ যেকোনো কিছু মোকাবেলায় প্রস্তুতও থাকতে বলেছেন। লক্ষ্ণৌয়ে বৃহস্পতিবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কমান্ডারদের দুই দিনব্যাপী এক কনফারেন্সের শেষ দিনে তিনি এমন কথা বলেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কনফারেন্স চলাকালে তিনি অ্যাম্ফিবিয়াস অপারেশনসংক্রান্ত একটি জয়েন্ট ডকট্রিনও প্রকাশ করেন। এ ডকট্রিনে দেশটির সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সাধারণ একটি অ্যাম্ফিবিয়ান যুদ্ধকৌশল প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে, যা দেশটির যেকোনো দ্বীপের প্রতিরক্ষায় কাজে লাগবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও ভারত এতদিন বিরল এক শান্তির মধ্যে ছিল এবং শান্তিপূর্ণভাবেই উন্নতি করে গেছে।’ এ সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহাকাশ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ভারতের সামরিক নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির এ উপাদানগুলো সংঘাত বা যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও এগুলোর পরোক্ষ ব্যবহার যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করে।’ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক যুদ্ধ-সরঞ্জাম যথাযথভাবে সন্নিবেশ করতে সামরিক কমান্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ‘ভারত একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। তবে সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি রক্ষার্থে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’