আগস্টে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে
বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম গত মাসে কিছুটা কমেছে। এ সময় চিনি, মাংস ও শস্যের দাম ছিল নিম্নমুখী। যদিও আগস্টে ঊর্ধ্বমুখী ছিল দুগ্ধজাত পণ্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের দাম। গতকাল প্রকাশিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।
এফএওর মূল্যসূচক মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক কমে ১২০ দশমিক ৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। জুলাইয়ে এফএওর নির্ধারিত সংশোধিত মূল্যসূচক ছিল ১২১ পয়েন্ট। এফএওর আগস্টে নির্ধারিত খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরের মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের এফএও সূচক গত তিন বছরে সর্বনিম্নে নেমে যায়।
জাতিসংঘের সংস্থাটি আগস্টে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক ১১০ দশমিক ১ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত এ মূল্যসূচক জুলাইয়ের তুলনায় দশমিক ৬ পয়েন্ট (দশমিক ৫ শতাংশ) এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট (১১ দশমিক ৯ শতাংশ) কম।
এফএওর আগস্টে চিনির মূল্যসূচক গড়ে ১১৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট নির্ধারিত হয়েছে। এটি জুলাইয়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট (৪ দশমিক ৭ শতাংশ) ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৩ পয়েন্ট (২৩ দশমিক ২ শতাংশ) কম। এদিকে আগস্টে জাতিসংঘের সংস্থাটির উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক গত বছরের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। পণ্যটির মূল্যসূচক গড়ে ১৩৬ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি, যা জুলাইয়ের তুলনায় ১ পয়েন্ট (দশমিক ৮ শতাংশ) বেশি। গত মাসে সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষা তেলের দাম কমলেও বিশ্বব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী ছিল পাম অয়েলের দাম।
এফএও বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাতপণ্যের মূল্যসূচকও আগস্টে বাড়িয়েছে। পণ্যটির গড় মূল্যসূচক নির্ধারণ করেছে ১৩০ দশমিক ৬ পয়েন্ট, যা জুলাইয়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮ পয়েন্ট (২ দশমিক ২ শতাংশ) এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট (১৪ দশমিক ২ শতাংশ) বেশি। অন্যদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে এফএও চলতি বছরের জন্য বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। চলতি বছর শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস ২৮ লাখ টন কমিয়ে ২ হাজার ৮৫ কোটি ১০ লাখ টনে নামিয়ে এনেছে। গত বছরও বিশ্বব্যাপী এ পরিমাণ শস্য উৎপাদন হয়েছিল।