নির্বাচনহাইলাইটস

সিইসির জরুরি সংবাদ সম্মেলন আজ

পদত্যাগ করতে পারে আউয়াল কমিশন

( ফাইল ছবি)
( ফাইল ছবি)

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই জোরালো হতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভেঙে দেয়ার দাবি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন এ কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল ইসির সামনে বিক্ষোভও করেছে ছাত্র-জনতা। সে বিতর্কের মধ্যেই আজ সাংবাদিকদের সামনে আসছেন সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। আজ দুপুর ১২টায় তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ইসি সচিবালয়ে গতকাল সিইসি নিজেই এ তথ্য জানান। পদত্যাগ করবেন কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিস্তারিত জানাব। সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানানো হবে।’ পরে নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে (নম্বর ৫২০) আজ দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করবে।

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এর পর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের পদ ছাড়তেই হবে। তাই পদত্যাগের জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তবে নিজেরাই পদত্যাগ করবেন, নাকি এ নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে তা বোঝার চেষ্টায় ছিলেন এতদিন। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় আজ সাংবাদিকদের সামনে আসছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত ২৩ আগস্ট দৈনিক সমকালের মতামত বিভাগে ‘বিপ্লব ও ফরমান: সরকার ও সংবিধান’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লেখেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই লেখার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার জন্য কাউকে পাচ্ছেন না। তাই নির্বাচন কমিশন যে সাংবিধানিক সংকটে পড়েছে, সেটা পত্রিকায় লিখে জনগণকে অবহিত করাই সমীচীন মনে করছেন।

এর মধ্যেই ‘১৭ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগসহ নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবিতে গতকাল ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পাশাপাশি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ও রকিব উদ্দিন আহমেদের বিচার দাবি করেন। সেই সঙ্গে ইসি সংস্কারে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো–নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, ২০১৮ সালের কেএম নুরুল হুদা কমিশনের বিচার, ২০১৪ সালের কাজী রকিব কমিশনের বিচার, বিগত সরকারের ‘দালাল’ কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং দক্ষ, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button