ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের তথ্য হ্যাক করেছে ইরান

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার তথ্য সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এর পেছনে ইরানের হ্যাকাররা ছিলেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) এফবিআই এবং অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে যে, বিভেদ উসকে দিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা দুর্বল করতে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। খবর বিবিসি। গত ১০ আগস্ট ট্রাম্পের প্রচারাভিযান থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ইরান তাদের অভ্যন্তরীণ তথ্য হ্যাক করেছে। তবে ইরানি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, ইরানি হ্যাকাররা ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় নানা কৌশল এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর প্রচারাভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে ইরান প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তথ্য চুরি ও প্রকাশ যে কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত তা মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে একটি স্পিয়ার-ফিশিং ইমেল পাঠানো হয়েছিল। ইমেইলটিকে বিশ্বাসযোগ্য দেখানোর জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে ক্লিক করার আগে কোনো সন্দেহ না জাগে। আর প্রচারাভিযান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন।
হ্যাক করে কী তথ্য চুরি করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প দাবি করেছেন, হ্যাকাররা শুধুমাত্র এমন তথ্যই পেয়েছেন তা সবার জন্য উন্মুক্ত। হ্যারিসের প্রচারাভিযানও গত সপ্তাহে বলেছিল যে, সেখানেও একটি স্পিয়ার-ফিশিং ইমেইলের মাধ্যমে সাইবার হামলা হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেয়া হয়। সোমবারের বিবৃতি প্রকাশকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে এফবিআই, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের অফিস এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি। তারা বলেছে, সাইবার হামলার কৌশলগুলি নতুন নয় এবং রাশিয়া ও ইরান আগের মার্কিন নির্বাচনেও এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো এবং ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে যে, ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের ভেতরের কিছু গোপন তথ্য তারা পেয়েছে। সেখানে ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের ব্যাপারেও বেশ কিছু তথ্য আছে। তবে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানোর ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।