দেশহাইলাইটস

দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ছবি : পিএমও অফিস
ছবি : পিএমও অফিস

যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী। ইউরোপে কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে?  মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী। ইউরোপে কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে। তিনি আরো বলেন, ২২ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানান। সেখানে তার উপস্থিতিতে আমাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর, আমি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button