আগামী ৮ জুলাই চীন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনদিনব্যাপী এ সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে রপ্তানি বৃদ্ধি, ওষুধ, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্র প্রসার, চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অবকাঠামো নির্মাণ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের কার্যকর ভূমিকা বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। লিউ জিয়ানচাও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অবকাঠামো নির্মাণে আরও সহযোগিতা দিতে চীন প্রস্তুত।