প্রবাস
মিশরে স্থানীয়দের সাথে প্রবাসীদের ঈদুল আজহা উদযাপন

সূর্যোদয়ের ঠিক ২০ মিনিট পর সারাদেশের মসজিদ ও খোলা মাঠৈ একযোগে ঈদের জামাত শুরু হয়। ইমাম প্রথম রাকাতে ৭ তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীরের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে ইমাম যথারীতি খুতবা দেন। তবে এ দেশে বেশিরভাগ মুসুল্লি নামাজের সালাম ফিরিয়েই মসজিদ ও ঈদগাহ ছেড়ে বের হয়ে আসেন।
শাফী মাজহাবের অনুসারী মিশরীয়রা নামাজের পর ইমামের সঙ্গে হাত তুলে মোনাজাত পড়েন না এবং ঈদ উপলক্ষে তাদেরকে বাংলাদেশের মুসুল্লিদের মতো কোলাকুলি করতেও দেখা যায় না। তবে যে সকল মাঠে বা মসজিদে বাংলাদেশিরা নামাজ আদায় করেন, তারা আমাদের দেশের রিতি অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে কুলাকুলি করতে দেখা যায়। যা দেখে স্থানীয়রা অবাক হয় বটে।
মিশরে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ নিজ এলাকা সহ রাজধানী কায়রোর বড় মসজিদ গুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ হওয়ার পর রাস্তায় কসাইদের হাঁকডাক শোনা যায়। তারা ‘গাজ্জার গাজ্জার’ বলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ‘হেদাইয়া’ (হাদিয়া) বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কোরবানির পশু জবাই করে কেটে দিয়ে যান। একটি খাসি/ দুম্বা জবাই, চামড়া ছাড়ানো ও বড় বড় টুকরো করে কেটে দেওয়ার হাদিয়া বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০। গরু, মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে তা ৩ হাজার টাকা। ঈদের জামাতের পর থেকেই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো দেশ। নানা ধরনের আয়োজন করা হয় দেশজুড়ে।
এ দেশের দাতব্য সংস্থা ও ধনী ব্যক্তিরা গরীবদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির মাংস বিতরণ করে থাকে। এ দিনে সবাই পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব সহ পরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলেই বলে, কোল্লু সানাত ওয়ানত তাইয়ীব বা কোল্লু ওয়ানতুম বাখাইয়ের বলে শুভেচ্ছা জানায় যার অর্থ, ‘বছরটি আপনার ভাল কাটুক’।