বিদেশহাইলাইটস

আজ শুরু হচ্ছে ৫০তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন

ছবি : ব্রান্সউইক গ্রুপ ডটকম
ছবি : ব্রান্সউইক গ্রুপ ডটকম

ইতালিতে আজ শুরু হচ্ছে গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ এর ৫০তম শীর্ষ সম্মেলন। জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা পুগলিয়ার (আপুলিয়া) দক্ষিণাঞ্চলে বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে তিনদিনের শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।  ইতালির বিলাসবহুল বোরগো এগনাজিয়া রিসোর্টে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ সম্মেলন শুরু হবে। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের এবারের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সাত সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রধানকে স্বাগত জানাবেন।  এ বছর ইতালি ১০টিরও বেশি দেশকে অতিরিক্ত আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন জায়েদ, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদেল মাদজিদ তেবউন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম থাকলেও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না মিসর ও সৌদি আরব।  আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগর এ দুটি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এবারের সম্মেলনে আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তু হতে যাচ্ছে ।

জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়ানোর বিষয়টি এজেন্ডার শীর্ষে রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি পশ্চিমা মিত্রদের থেকে আরো সহযোগিতা চাইবেন। এর বাইরে ফিলিস্তিন ইস্যু ও আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য ৫০০ কোটি ডলার ঋণের একটি চুক্তি সম্পন্ন হবে যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো তার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পরপরই পশ্চিমে হিমায়িত করা হয়েছে।

সম্মেলনের আরেকটি অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর আলোকপাত করা হবে। এক্ষেত্রে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ মূল বিষয়গুলোর একটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্ভবত অতীতের অবস্থানগুলো নেতারা পুনঃনিশ্চিত করবেন। হামাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো এবং এ অঞ্চলে শান্তি অর্জনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করবেন জি-৭ নেতারা। ৫০তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকছেন পোপ ফ্রান্সিসও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) একটি অধিবেশনের জন্য প্রথমবারের মতো শীর্ষ সম্মেলনে একজন পোপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  শনিবার (১৫ জুন) সম্মেলন শেষে একটি চূড়ান্ত বিবৃতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা গ্রুপের ভবিষ্যৎ নীতির ক্ষেত্রে নির্দেশনা এবং বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের রূপরেখা দেবে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button