সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে যে প্রকল্প, সেই প্রকল্প নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাজ করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ধরনের প্রকল্পের জন্যই এই অর্থবছরের বাজেট চাওয়া হবে। এ লক্ষ্যে সরকার অর্থবছরটিতে যে বরাদ্দ দেবে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যয় করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে রোববার (২ জুন) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তারা এসব তথ্য জানান।
আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে কী হয়েছে না হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলবো না। এই মন্ত্রণালয় থেকে কর্মকর্তাদের আমি যেটা নির্দেশ দিয়েছি- আমরা সেই প্রকল্পগুলোই নেবো, যে প্রকল্পগুলো সাধারণ মানুষের উপকার হবে। আমি অহেতুক কোনো প্রকল্প নেবো না। তিনি বলেন, আমার নির্দেশ থাকবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে যে প্রকল্প, সেই প্রকল্প নিয়ে আমরা কাজ করবো। এটা মনিটর করার জন্য প্রত্যেক মাসে অল্প অল্প করে সবার সঙ্গে কথা বলবো, যেন আমি অর্থবছরেই টাকা শেষ করতে পারি।
এ সময়ে মন্ত্রীর পাশে বসে থাকা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তার ৭৬ শতাংশ ব্যয় হয়। আপনারা জানেন অনেকগুলো প্রকল্প অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ক্যাটাগরি করে দেওয়া ছিল- ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। আমাদের মন্ত্রণালয়ের যে প্রকল্প ছিল তার বেশিরভাগ ‘বি’ ক্যাটাগরির। যে কারণে আমাদের এখানে ২৫ শতাংশ আগেই কাট করে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের যে অপারেশন প্ল্যান্ট তার সাকসেস, ন্যাশনাল যে প্রগ্রেস তার কাছাকাছি ছিল।
তিনি বলেন, কোনো বাজেটই শতভাগ ব্যয় করা যায় না, বিশেষ করে প্রজেক্টের ক্ষেত্রে। আর কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে। আপনারা জানেন এখানে অনেকগুলো পূর্ত কাজ। এই পূর্ত কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে নানা ধরনের ঝগড়াঝাটি অনেক সময় আমাদের করতে হয়। আমরা মনে করি কোনো অর্থবছরে ৮৫-৯০ শতাংশ ব্যয় করতে পারলে মোটামুটি শতভাগ ধরে নেওয়া হয়। আমরা আশা করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে থাকতে পারবো। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বছরের শুরু থেকেই প্রকিউমেন্ট প্ল্যান করবো। আপনারা জানেন এখানে সবচেয়ে বড় প্রকিউমেন্ট থাকে এবং কিছু অবকাঠামো থাকে। সেটা আমরা বছরের শুরু থেকেই প্ল্যান করবো, যেন সরকার আমাদের যে টাকা দেবো ওই টাকা আমরা সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে পারি।