নির্বাচনবিদেশহাইলাইটস

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপে ভোটগ্রহণ চলছে

ভারতে সপ্তম ও শেষ ধাপের নির্বাচনে শনিবার কলকাতার একটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা। ছবি : এএফপি
ভারতে সপ্তম ও শেষ ধাপের নির্বাচনে শনিবার কলকাতার একটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা। ছবি : এএফপি

ভারতে ছয় সপ্তাহ ধরে চলা লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে আজ শনিবার (১ জুন)। এই ধাপে লোকসভার ৫৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে যে শহরটিকে ব্যবহার করে থাকেন, সেই বারানসিতেও ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। খবর এএফপির। আগামী মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষের আগ্রাসী ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিপালনের ক্ষেত্রে মোদি তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়েই আবারও ক্ষমতাসীন হতে যাচ্ছেন।

৭৩ বছর বয়সী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনি এলাকা ও হিন্দুত্ববাদের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ খ্যাত বারানসিতেও আজ ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা নদীর তীরে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা তাদের মৃত প্রিয়জনকে দাহ করতে নিয়ে আসেন। বারানসি ভারতের নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য চূড়ান্ত উত্তেজনাপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি এটি মোদির জন্য তার ধর্ম ও রাজনীতির মেলবন্ধনের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম সমর্থনপুষ্ট এলাকা হিসেবেও বিবেচিত। এ বিষয়ে শহরটির হোটেলে অবস্থানকারী অনেক পূণ্যার্থীর মধ্যে একজন বিজয়েন্দ্র কুমার সিং বলেন, ‘অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি জয়লাভ করতে যাচ্ছেন। তিনি যা-ই করেন, গর্বের সঙ্গে করেন, আর তাই লোকজন তাকে ভোট দেয়।’ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দুটি ভূমিধস বিজয় অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতি বিশেষ আবেদনের জন্যই তিনি এমন সাফল্য পান।

১৯৯২ সালে অযোদ্ধায় শতবর্ষ পুরোনো মসজিদ ভেঙে ফেলে অতি উৎসাহী হিন্দুরা। সেখানে দেবতা রামের সৌজন্যে তৈরি সেই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ বছর সভাপতিত্ব করেন মোদি। এই রাম মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে হিন্দু কর্মী-সমর্থকদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়। পাশাপাশি টেলিভিশন কভারেজ ও রাস্তায় আনন্দ উৎসবের ভেতর দিয়ে উদযাপন করা হয় সারা দেশে। যদিও এসব ঘটনায় ২০ কোটিরও বেশি সংখ্যালঘু মুসলিম নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

তা ছাড়া নরেন্দ্র মোদি নিজেও বিভিন্ন সময়ে মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া তিনি ২৪টির বেশি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে ভারতের সম্পদ আবারও মুসলমানদের মধ্যে বণ্টনের ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। বিশ্লেষকদের হিসাব অনুসারে, বিজয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা নির্ধারণে ব্যর্থ বিরোধী জোটটির বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি আবারও বিজয়ী হতে চলেছেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button