জেলার খবরহাইলাইটস

চাঁদপুরে ৩৯ দিন পর উৎপাদনে ফিরল বিদ্যুৎকেন্দ্র

চাঁদপুরে এক মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে উৎপাদনে ফিরেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
চাঁদপুরে এক মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে উৎপাদনে ফিরেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

দীর্ঘ এক মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। গতকাল সোমবার (১৩ মে) দিনগত রাত ৩টায় গ্যাস সংকটের মধ্যেই ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১০ মার্চ চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। তবে অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। মার্চ মাস চালু ছিল। ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।’

নূরুল আবছার বলেন, ‘বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত কাজের জন্য এক মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে এখন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।’

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি ১০০ মেগাটওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাটওয়াটের। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেন। সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে আগুন লাগার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button