ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ভোট গণনার কাজ চলছে। এ ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অঞ্চলভিত্তিক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়ার ধারণা করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম। তবে, তার আশা ১২টার পর ভোটার উপস্থিতি বাড়ার কথা। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে অনেকটাই নির্দলীয় ভোট হয়েছে। বিশেষ করে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই হয়েছে। তবে, ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছিলেন, ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও অনিয়ম যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২১ মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনাভোটে বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। অন্যদিকে, উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ, মৃত্যুজনিত, প্রশাসনিক ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে ৮টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি। শেষ পর্যন্ত প্রথমধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।