জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ‘জলবায়ু ২৪’ নামের সারাদিন ব্যাপী সচেতনতা শিবির
৩ মে, ২০২৪-এ জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ‘জলবায়ু ২৪’ নামের সারাদিন ব্যাপী সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম। হুগলী জেলার বেঙ্গল স্কুল অফ টেকনোলজিতে এই শিবিরে অংশ নেয় ওই জেলার ২৫ টি স্কুলের ১০৬ জন ছাত্রছাত্রী, ৩০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা । পদ্মশ্রী দুখু মাঝি বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কু প্রভাব থেকে বাঁচতে কী করণীয় সে বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ড: দীপায়ন দে, বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক এস সি সাঁতরা । ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন ও বক্তাদের উত্তরে সচেতনতা শিবির মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে। শিবিরের শেষ পর্বে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার ক্ষতি সংক্রান্ত ‘এরোশন’ নামের তথ্য চিত্র দেখানো হয়। সভায় পদ্মশ্রী দুখু মাঝি ছেলেদের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন।তিনি বলেন, “গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার রসদ হিসেবে অক্সিজেন পাই। স্বাভাবিকভাবেই যতই গাছ কাটা হবে, এই ধরিত্রী শ্মশানে পরিণত হবে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ করা। গাছ শুধু অক্সিজেনই দেয়না,পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে।” পরিবেশ সম্পর্কিত সমাজসেবী সংগঠন নেচার কেয়ার ইনিশিয়েটিভের শ্রীকান্ত সাহু সভায় তাঁর সুচিন্তিত মতামত দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি আশিস গুপ্ত বলেন,”সাংবাদিকরা সমাজ বহির্ভূত মানুষ নন। এই সমাজেরই একজন সদস্য হিসেবে তারও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সেই সামাজিক দায়বদ্ধতার ভাবনা থেকেই তৈরী হয়েছে আমাদের এই সংগঠন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করবো। আজকের এই সচেতনতা শিবির জার্নালিস্টস ফোরামের প্রথম কর্মসূচি।” সংগঠন রাজ্যের স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা করে। তার ফলাফল এদিন তিনি প্রকাশ করেন। প্রথম হয়েছে হরিয়ানা বিদ্যা মন্দিরের ঈশিকা নন্দী। আগামী দিনে সংগঠন কী কী করতে চায় তাও তিনি বলেন। সভাপতি সবাইকে অভিনন্দিত করেন।