প্রবাস
ফিলিস্তিনের পথে বাংলাদেশীদের পাঠানো বৃহত্তম ত্রান বহর
লাল সবুজের পতাকা ও মিশরে বাংলাদেশি চ্যারাটি ফান্ড ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ এবং ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থা’র ব্যানার টানানো ৩৫টি লরিতে ৫কোটি টাকারও অধিক অন্ততঃ সাতশত টন জরুরি ঔষধ ও ত্রান সামগ্রী নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১৫টি লরি ভর্তি একটি ত্রানবহর আজ সোমবার (২৮শে এপ্রিল) বিকালে মিশর- ফিলিস্তিন সীমান্ত রাফা’র উদ্দেশ্যে কায়রো ত্যাগ করে।
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুদানে ভর্তি এ সকল লরির মধ্যে ছিল, প্রান রক্ষাকারী জরুরী ওষধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু সহ নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবহারিক জিনিসপত্র। এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাঠানো এ যাবত কালের সর্ববৃহৎ ত্রান বহর। এসকল অনুদান আল আজহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বেচ্ছাশ্রম এবং তাদের সাথে বাংলাদেশের একাধিক বেসরকারি সেবা সংস্থা, মিশরস্থ বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন গুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।
ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুজাইফা খান জানান, এবারের সপ্তম দফায় ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ২২টি লরি গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এর মধ্যে ফাউন্ডেশনটির নিজস্ব ৯টি লরির সাথে আরো ১১টি সংস্থার ১৩টি লরি গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সেগুলো হলো, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের জৈনিক চিকিৎসক দম্পতির একটি ঔষধের লরি, মাকতাবাতুল আশরাফ, ইলমান নাফিয়া, হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)সেবা ফাউন্ডেশন, আস সিরাজ ফাউন্ডেশন, আহলে হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, অঙ্গিকার ফাউন্ডেশন, ক্রিয়েটিভ ইনস্টিটিউট, উত্তরা গাউসুল আজম জামে মসজিদ, সিম্পল রিজন (ব্রিটেন), দারুল জান্নাহ জামে মসজিদ (ব্রিটেন)।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার (Bangladesh Palestine Friendship Organization) সভাপতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ তরফদার জানান, ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকে মিশরের গ্রান্ড ইমাম শাইখুল আযহার ড. আহমাদ আল তাইয়িব এর তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৮৪০ টন ত্রান সামগ্রী গাজায় পৌঁছেছে, সেইসাথে প্রথম থেকেই আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে নিয়মিত আজহারের মাধ্যমে সরাসরি গাজায় সহায়তা পাঠিয়ে আসছি।
আব্দুল আজিজ তরফদার আরো জানায়,
যাদের অক্লান্ত শ্রম ও ভালবাসায় আজকের লাল সবুজের এ বিশাল লরির বহর প্রস্তুত হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন আমরা নির্যাতিত মানুষদের পাশে ছিলাম এবং যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পুর্ননির্মানেও তাদের পাশে থাকবে।
সংস্থাটি মনে করে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ এই নীরব আন্দোলনে আমাদের পাশে থাকবে। ।
আল আজহার বাইতুয যাকাত এন্ড সাদাকাত হাউস জানায়, নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর জন্য আজ কায়রো থেকে ১৮৪০ টন জরুরি খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধ নিয়ে ১১৫ টি লরি গাজার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছে। যার সাথে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ৩৫ টি লরি ভর্তি জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সমগ্রী যুক্ত রয়েছে। সংস্থাটির সেক্রেটারি মেজর জেনারেল (অব.) আমর লুতফি সংস্থাটির এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরর কার্যক্রমের ভূয়সি প্রসংশা করেন।