ইসরায়েলি আগ্রাসন ও তান্ডবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোন ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছেl অর্ধহারে অনাহারে লাখো মানুষ। ঘাস, লতাপাতা দিয়ে ইফতার আর সেহেরি খেয়ে রোজা রাখছেন গাজাবাসি। দখলদার ইসরায়েলের বাহিনীর বাঁধা সত্যেও বাংলাদেশের আশ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও রেড ক্রিসেন্ট এর মাধ্যমে গাজার নির্যাতিত ১২১০টি পরিবারের জন্য ভালোবাসার উপহার নিয়ে আজ রাফার উদ্দেশ্য যাত্রা করল লাল- সবুজের পতাকা ও আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে মন্ডিত একটি লরি সহ বিভিন্ন দেশের ৯০টি বিশাল আকারের লরির বহর।
আশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশর মানুষের দেওয়া উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ১২০০০ বিশুদ্ধ পানির বোতল, জরুরী খাদ্যসামগ্রী, ২১০টি ফুড প্যাকেজ। যা, রাফা সীমান্ত হয়ে প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্ট এর মাধ্যমে খুব শীগ্রই গাজার বিভিন্ন ক্যাম্পে বিতরণ করা হবে। আশ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি যিনি বাংলাদেশে রেজিস্ট্রার্ড এনজিও আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন এই প্রতিনিধিকে বলেন, আজ বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া উপহার গুলো লাল- সবুজের পতাকা ও আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে মন্ডিত একটি লরিতে বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল, জরুরী খাদ্যসামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের ফুড প্যাকেজ পাঠালাম। এগুলো খুব শীঘ্রই গাজাবাসীর কাছে পৌঁছাবে।
নাছির উদ্দিন আরো বলেন, নর্থ গাজা, রাফা ও খান ইউনিস এর বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রচুর খাবার পানি ও টয়লেটের সংকট রয়েছে, জেনে আশ ফাউন্ডেশন এবার ফিলিস্তিনের রেজিস্ট্রার্ড অর্গানাইজেশনের সাথে বিশুদ্ধ পানির জন্য ট্যাংক স্থাপন ও টয়লেট নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফান্ড থাকা সাপেক্ষে যার সংখ্যা কম বেশ হবে।