মালয়েশিয়ায় ভিভিআইপি খেতাব পেলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ইয়াসিন টুটুল। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানী কুয়ালালামপুরে ৫ তারকা হোটেল রয়েল চুলান বলরোমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে তাকে এ খেতাব প্রদান করা হয়। এ সময় কেলান্তান রাজ্যের প্রভাবশালী রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়াই. এ. এম. তুংকু মোহাম্মদ, টুটুলের হাতে তুলে দেন, ওয়াইবি এইচ জি (ভিভিআইপি) সম্মাননা।
পাশাপাশি প্রবাসী তরুণ উদ্যেক্তা ইয়াসিন টুটুলকে দেশটির কেলান্তান রাজ্যের প্রভাবশালী রাজ পরিবারের সদস্য করে নেওয়া হয়। এমন স্বীকৃতি লাভ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মোবাইল ফোনে টুটুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাছের মানুষ ও শুভাকাঙ্খীরা।
জানা গেছে, ঢাকা কেরানীগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাজী আনসার আলীর ছেলে ইয়াসিন টুটুল, এক ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ইয়াসিন টুটুল ২০১৪ সালে পড়া লেখা করতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। মালয়েশিয়ার কোটা দামাসারা সেগী ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার টেইলর্স ইউনিভার্সিটি থেকে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। পড়া লেখার পামাপাশি ইয়াসিন টুটুল প্রথমে সেলুন ব্যবসা শুরু করেন। পরে প্রতিষ্টা করেন ওয়াই এন গ্রুপ নামে ব্যবসা প্রতিষ্টান। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ১০ টি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। প্রতিষ্টা করেছেন আলফা ইউনিভার্সিটি কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ইয়াসিন টুটুলের প্রতিষ্টানে স্থানীয় ও বাংলাদেশিসহ ২০৫ জন কর্মরত রয়েছেন। ভবিষ্যতে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে রূপান্তর করে যেখানে সহস্রাধিক বাংলাদেশির কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা তরুণ উদ্যেক্তা টুটুলের।
২০২০ সালে মালয় তরুণী নুর রিসটিনা ফাহিনকে বিয়ে করেন টুটুল। তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক মেয়ে। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছে অতি পরিচিত মুখ টুটুল মামা সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠীর সহ সভাপতি পদে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ইয়াসিন টুটুল বলেন, আমি বাংলাদেশি, এটাই আমার বড় পরিচয়। প্রবাসে এ সম্মান পাওয়া দেশের জন্যও সম্মানের। এ সম্মান যেন ধরে রাখতে পারি। মালয়েশিয়ায় কর্মরত সব প্রবাসীর যেকোনো সমস্যা সমাধানে পাশে থেকে আত্মনিয়োগ করবেন বলেও জানান টুটুল।