প্রবাসহাইলাইটস

পাসপোর্ট বিতরণ: প্রবাসীদের দাবি পূরণ করলেন হাইকমিশনার শামীম আহসান

শনিবার (১৬ মার্চ), সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং- অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ থেকে সরাসরি প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছেন, হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার (১৬ মার্চ), সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং- অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ থেকে সরাসরি প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছেন, হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত।

পাসপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের দাবি পূরণ করলেন, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। দাবি পূরণের আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রবাস স্কিম ও বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানো বিষয়ক এক প্রচারণা সভা করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আসান। সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং-এ অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজে অনুষ্টিত প্রচারনা সভায় উপস্থিত শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি ক্লাং-এ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট প্রদানের দাবি উত্থাপন করেন হাইকমিশনারের কাছে। প্রবাসীরা বলছিলেন, পোষ্ট অফিস অথবা সরাসরি হাইকশিন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে একদিন চলে যায়।

একদিন ছুটি নিলে বেতনও কেটে রাখে মালিক পক্ষ। প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে, সভায় হাইকমিশনার প্রবাসীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন এবং  তাদের দাবি পূরনে , ১৫ ও ১৬ মার্চ  দুই দিন ব্যাপী, সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ থেকে সরাসরি প্রবাসীদের পাসপোর্ট দিচ্ছে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।  ২য় দিন চলছে পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম। কাঙ্খিত পাসপোর্ট হাতে পেতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছেন প্রবাসীরা।
শনিবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন জানিয়েছেন, অনলাইনে যারা আবেদন করেছেন, ক্লাং অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজ থেকে হাইকমিশনার মো: শামীম আহসানের দিক নির্দেশনায়, হাতে হাতে পাসপোর্ট বিতরণ করছি। প্রথম দিন শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত  ৩৫০ টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (আজ)  বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলবে এ সেবা কার্যক্রম। দুই দিনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫ শতাধিক প্রবাসী পাসপোর্ট সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন, কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন।  সেবা প্রদানে পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলরের সঙ্গে রয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা  ছাইদুল ইসলাম ও  অফিস সহকারী  মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।
মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন জানিয়েছেন, যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধুমাত্র তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি জানান।
পাসপোর্ট নিতে আসা প্রবাসী মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম বলেন, সরাসরি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আমরা খুশি। এখন যথাসময়ে ভিসা করতে পারব। একটা চিন্তা ছিল যথাসময়ে পাসপোর্ট পাবকিনা? আমাদের দাবির আলোকে সেটি সহজ করে দিয়েছেন আমাদের অভিভাবক মান্যবর হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। মাহফুজ, মনিরুল বলছেন, মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন যেন সবসময় পাশে থাকে এ প্রত্যাশা তাদের।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button