দেশহাইলাইটস

দুর্যোগ সহনশীল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সবাই অবদান রাখুন : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এদেশের মানুষ প্রতিবছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে প্রাণহানিসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে বন্যা, নদীভাঙন কবলিত ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষ ও তাদের সহায়-সম্পদ রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণের নির্দেশনা দেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপির যাত্রা শুরু করেছিলেন, যারা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার, সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা বর্তমানে ৭৭ হাজার ২৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। যাদের ৫০ ভাগ নারী সদস্য, যা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, কার্যকর নীতি ও সব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ মানবসম্পদে সমৃদ্ধ। সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে মানবতার সেবায় বলীয়ান প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ও অনুসরণীয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলির মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ-পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সবার দায়িত্ব সম্বলিত স্বয়ংক্রিয় নির্দেশনা প্রদান করেছে, যা জরুরি সাড়াদানসহ পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সাড়াদান কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে।’

মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বাস করেন, “গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অপার সম্ভাবনাময় এই দেশ অচিরেই বিশ্বের দরবারে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আশা করি, একটি দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন।”

এমন আরো সংবাদ

Back to top button