
এডিস মশার প্রকোপ যাতে না বাড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের মধ্যে ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চতুর্থ দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধিবেশনে শেষে সাংবাদিকের উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বলেন, ‘সামনে এডিস মশার প্রকোপ বাড়বে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে শহরে এডিস মশা বেশি দেখা গেছে। গ্রামেও এখন নতুন ভবন, বাড়িঘর হয়েছে। পানি জমে থাকার সুযোগও আছে। সে জন্য গ্রামাঞ্চলেও এডিস মশার প্রজনন হতে পারে।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও একটি ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলাম। যেখানে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও ভাগ করে দেয়া হয়েছে।’
এডিস মশা মোকাবেলায় সচেতনতা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবী অনুধাবন করছে, এডিস মশা মোকাবেলা করতে হলে সচেতনতা দরকার ৯০ শতাংশ, বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল।’ বুধবার (৫ মার্চ) সভা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ কোটি টাকার ওষুধ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যদি আমরা ঢাকার বাইরে এক শতাংশ এডিস মশার প্রকোপ দেখতাম, বাকি ৯৯ শতাংশই দেখা যেতো ঢাকা শহরে। গত বছর এডিস মশার প্রকোপ ঢাকায় কমে নেমেছে ২০ শতাংশের নিচে। কিন্তু ঢাকার বাইরে হয়েছে ৮০ শতাংশ।’
এ বিষয়ে ডিসিদের এখনই উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা জনসচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করছেন। তাছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে যেসব সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে তাতেও গ্রামাঞ্চলের মানুষও সচেতন হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সঠিকভাবে দেখভাল করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে ডিসিদের মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’