বিদেশি কর্মসংস্থান খাতে সাব-এজেন্টদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বৈধতা দিতে নতুন আইন আনছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এ আইনটি কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালয়কিনি।
তারা বাংলাদেশ পার্লামেন্টের মাইগ্রেশন ও ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ককাসের চেয়ারম্যানের বরাতে জানিয়েছে, বর্তমানে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করা এসব সাব-এজেন্টদের নতুন আইনের আওতায় আনা হবে। এতে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে চাকরির কেলেঙ্কারি ও অতিরিক্ত নিয়োগ ফি দাবির মতো সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ার কারাগারে প্রায় ১০০০ এর বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশী নাগরিক আটকে রয়েছে। বর্তমানে এই সাব-এজেন্টরা অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করেন, তবে নতুন আইনের মাধ্যমে তাদের আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হবেও বলে জানাগেছে।
দেশটির আরেকটি প্রভাবশালী অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, বাংলাদেশ পার্লামেন্টের মাইগ্রেশন ও ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ককাসের চেয়ারম্যান তানভীর শাকিল জয়ের উদৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “মালয়েশিয়ায় ৩,৫০,০০০ এর বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধিত আছেন এবং তাদের আয় বাংলাদেশের জন্য প্রধান আর্থিক সহায়ক যা গত গত দুই বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন রিঙ্গিত।
এছাড়া বাকি যারা আনডকুমেন্টেড তাদের যদি আমরা বৈধতা দিতে পারি তবে সেটার ফল আরো ভালো কিছু হতে পারে। তবে তিনি আরো বলেন যে, মালয়েশিয়ায় চাকরি ছাড়া শত শত শ্রমিক আটকা পড়ার খবরের মধ্যে “দালাল” এজেন্টদের কারণে সরকার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে।