মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে, দেশটির সরকার। শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে, অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম)। এ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার আহ্বান ানিয়েছে সে দেশের সরকার। প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে নথিপত্রবিহীন বিদেশিরা যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিচার ছাড়াই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
তবে অভিবাসন অপরাধের জন্য তাদের জরিমানা দিতে হবে। নতুন কর্মসূচির আওতায় কোন রকম নথিপত্র ছাড়া মালয়েশিয়া প্রবেশ করে থাকলে তাদের ৫০০ রিঙ্গিত আর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি এমন অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জরিমানা দিতে হবে ৩০০ রিঙ্গিত।
তবে, যাদের আটক করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে এবং চার্জ করা হচ্ছে তারা পিআরএম প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের যোগ্য নয় বলে, রাস্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ। তিনি আশা করেন ৩ থেকে ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসীরা এ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যারা দেশে ফিরবেন তারা ইমিগ্রেশন অফিসে যে নথিগুলি আনতে হবে তা হল তাদের ফ্লাইট টিকিট, বৈধ ভ্রমণ নথি (পাসপোর্ট) , পাসপোর্ট না থাকলে নিজ দূতাবাস থেকে ইস্যুকরা ট্রাভেল পারমিট যাকে বলা হয় ট্রাভেল পাস।
রুলিন বলেন, পিআরএম প্রোগ্রাম সফল করতে ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশসহ বিদেশী দূতাবাসগুলির সহযোগিতা চাইতে শিগগিরই দূতাবাসগুলির সাথে আলোচনায় বসবে অভিবাসন বিভাগ। টিকিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসে আত্মসমর্পণ করারপর অভিবাসীদের ১৪ দিনের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের জরিমানা প্রদান করতে হবেনা। জরিমানা (কম্পাউন্ড ) পরিশোধের বিষয়ে, রুসলিন বলেন, বিভাগ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিআরএম বাস্তবায়নে কোনো এজেন্ট নিয়োগ করেনি। শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা টাচ ‘এন গো ই-ওয়ালেটের মতো ইলেকট্রনিক পেমেন্ট মোডগুলি জরিমানা পরিশোধের জন্য গৃহীত হবে। দালালদের খপ্পরে না পড়ে সরাসরি ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করতে অভিবাসীদের সতর্ক করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।