সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। মালয়েশিয়ায় চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগমি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে, হাইকমিশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান জানান, প্রবাসীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট সেবার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হাইকমিশন। ইএসএল নামক একটি আউট সোর্স কোম্পানি এ নিয়ে কাজ করছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে।
হাইকমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাইকমিশনার জানান, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রবাসীদের মাঝে মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ৪২টি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া ডাক বিভাগের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৭টি এবং সরাসরি ৯৩ হাজার ২১৫টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়। কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসে কাজ না পাওয়া কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান জেটিকের মাধ্যমে কোম্পানি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে অনেকের এবং এখনো এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনিয়মিত কর্মীদের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন থেকে জানানো হয়েছে নামমাত্র জরিমানা দিয়ে অনিয়মিত প্রবাসীরা দেশে ফিরতে পারবেন। এ নিয়ে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসীদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
জেলখানায় থাকা প্রবাসীদের বিষয়ে হাইকমিশনের লেবার উইং থেকে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। সাজা শেষ পর্যায়ে থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় কারো সাথে নগদ টাকা লেনদেন না করে জেল কর্তৃপক্ষের নিকট শুধুমাত্র এয়ার টিকিট প্রদানের জন্য তাদের পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের উদ্দেশে আহ্বান জানান হাইকমিশনার। পাশাপাশি দেশের বৃহৎ স্বার্থে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা নিরসনে দূতাবাস সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যহত থাকবে। এ ছাড়া বিদেশে দেশের সম্মান অক্ষুন্ন রেখে প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে প্রবাসী সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর ( শ্রম ) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কনসুলার ) জি এম রাসেল রানা, কাউন্সিলের (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন এবং প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ ।