বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২য় দিনে ১৫ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত
উৎসবের ২য় দিনের সকালে পরিপূর্ণ দর্শকে প্রদর্শিত হলো ১৫টি চলচ্চিত্র। সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ছোটবড় সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় ভরে ওঠে শিল্পকলার চত্বর। উগান্ডার চলচ্চিত্র মামমা ওয়াং দিয়ে শুরু হয় সকালের প্রদর্শনী। শিশুতোষ চলচ্চিত্র দিয়ে সাজানো হয় সকালের অধিবেশন। প্রদর্শনীর বিরতীতে বিধান কৃষ্ণের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন আতিকুর রহমান মিঠু, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ শাহাদৎ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন বীট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ সাহাবুদ্দীন সৈকত। আলোচনা শেষে প্রদর্শিত হয় নেপালের চলচ্চিত্র ডিভাইনেশন, ভারতের চলচ্চিত্র নাই পাহাল এরপর মধ্যাহ্নের বিরতী।
বিকেল তিনটায় মাস্টার ক্লাস ও চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাংগুলি এবং নেপালের চলচ্চিত্র নির্মাতা অরুণ দেও জোসি। বিকেল চারটায় দেখানো হয় পোলান্ড, আমেরিকা, সাউথ কোরিয়া, স্পেনের চলচ্চিত্র চারটি চলচ্চিত্র। সবশেষে প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র রাশেদ শামীম সামের পরী এবং তন্ময় সরকারের চলচ্চিত্র দহনযাত্রা। করতোয়া বিধৌত পুণ্ড্রনগরের হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রাচীন জনপদের শহর বগুড়ায় গত ৪ বছর যাবত পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদ বগুড়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবটি। এইবারের উৎসবে ১৮ দেশের মোট ৪৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। ৪টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার। উৎসবে জুরি হিসেবে রয়েছে ভারত থেকে ধার্মেন্দার ডাঙ্গী, ড. আবিদ, নেপাল থেলে কেপি পাটক , শ্রীলঙ্কা থেকে রোদনি রাথিপানা, জার্মানি থেকে ইন্দো স্টারজ এবং বাংলাদেশ থেকে আশরাফ শিশির ও সাদিয়া খালিদ রীতি।
উৎসবে তৃতীয় দিনে সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিলনায়তনে দেখা যাবে ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। দুপুর ২টায় চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা, প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন নেপালের চলচ্চিত্র নির্মাতা অরুন দেও জোসি। বিকেল ৩টায় স্বাধীন চলচ্চিত্রের বিপণণ ও বাজারজাতকরণ শিরোনামে মাস্টার ক্লাস। ক্লাস পরিচালনা করবেন নির্মাতা খন্দকার সুমন, হোস্টিং এ থাকবেন নির্মাতা ও উদ্যোক্তা আনন্দ কুটুম। বিকেল চারটায় থাকবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার ও পুণ্ড্রনগর সম্মাননা প্রদান করা হবে বিকেল ৫টায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বগুড়া ৬ আসনের সাংসদ জনাব রাগেবুল আহসান রিপু। পুণ্ড্রনগর সম্মাননা পাবেন কবি ও প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার এবং নাট্যজন তৌফিক হাসান ময়না। এরপর রাত নটা পর্যন্ত চলবে নির্ধারতি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। উৎসবের অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শন করা হবে উৎসবে পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র এবং সুপিন বর্মন নির্মিত চলচ্চিত্র সুখের সংসার ও আ লেটার অব পোস্টমাস্টার।
বগুড়ার একমাত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের এ আয়োজনে ভারত, নেপাল, ইতালী, বাংলাদেশসহ মোট ৪ দেশের ৩০জন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলাকুশলী বগুড়ায় চলে এসেছেন বলে জানান আয়োজক কমিটি।